নুরুল হোসাইন ফারুক লুটন থেকে :
পেহেলগানের ঘটনা নিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে হয়। পাকিস্তান -ভারত এ পর্যন্ত ৩ বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে,তবে এর মধ্যে দুইবার চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ সমাধানে পৌঁছেছে।
প্রথম যুদ্ধের সময়কাল ছিলো অক্টোবর ১৯৪৭-ডিসেম্বর ১৯৪৮ জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয় এবং কাশ্মীর দুই ভাগে বিভক্ত হয় — একটি ভারত নিয়ন্ত্রিত, অন্যটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত (আজাদ কাশ্মীর)।
দ্বিতীয় বার যুদ্ধ সংঘটিত হয়
এপ্রিল – সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ এই সময়ে পাকিস্তান ‘অপারেশন জিব্রালটার’ নামে এক অভিযান চালায় ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তখন দুই দেশই তীব্র লড়াইয়ের পর উভয়পক্ষ তাশখন্দ চুক্তিতে পৌঁছে, এবং সীমান্ত আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
তৃতীয় বার হয়েছিল মে – জুলাই ১৯৯৯ এটাতে কোনো চুক্তি হয়নি, দুই দেশের সেনাবাহিনী কিছুদিন পর হামলা বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু বর্তমানে যে যুদ্ধ – যুদ্ধ খেলা চলছে সেটাও যুদ্ধে মোড় নিবে বলে মনে হয় না। উভয় দেশেরই কিছু দূর্বলতা আছে এবং যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সেটা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে এটা দুই দেশই বুঝতে পারছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারত সিন্ধু নদীর পানি দীর্ঘদিন আটকে রাখতে পারবে না। আর যদি পানি আটকে রাখতে না পারে তাহলে যুদ্ধও লাগবে না, বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতার মাধ্যমেই উভয় দেশ শান্ত হয়ে যাবে। মোদির ভিতরে ভয় আছে কারণ তার নিজ দেশের জনগণই বিশ্বাস করে না যে ভারত যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে।