মুহাম্মদ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও ঔষধ সংকটে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন মিডওয়াইফ ও একজন পিয়ন কাম নৈশপ্রহরী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ও মিডওয়াইফ। গর্ভবর্তী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও রয়েছে ঔষধ ও জনবলের ঘাটতি।
কলকলিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা সেবা নিতে আসে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইউনিয়নে ১টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও লোকবলের সংকট থাকায় প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী সেবা নিতে আসে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সরকারি বাজেট অনুযায়ী ৩০ প্রকার ওষুধ থাকার কথা থাকলেও তা নেই। জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা হলেও আধুনিক মানের চিকিৎসা দেওয়া চেষ্টা করছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার শহিদুল্লাহ কাওসার।
এ ছাড়া ডায়াবেটিস, প্রেসার ও অ্যাজমাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রোগের ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছেনা ঔষধ।
ভক্তভোগী রোগীরা বলেন, এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী দেখেন। তবে ৩০ থেকে ৪০ জনের বেশি রোগী দেখা উচিত নয়। এভাবে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলতে পারে না। স্বাস্থ্য থেকে কিছু ঔষধ দিয়ে হাতে স্লিপ ধরিয়ে দেন। বাকি ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
উপ-স্বাস্থ্য সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার। তার পরেও রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কৃপেশ রঞ্জন রায় এর মুটো ফোনে বার বার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার শহিদুল্লা কাওসার বলেন, সরবরাহে ঘাটতির কারণে ঔষধের বিষয়ে মাঝেমধ্যে কিছু জটিলতা হয়। হাসপাতালে যে ঔষধ সরবরাহ থাকে না, সেই ঔষধ দোকান থেকে নিয়ে আসতে বলা হয় রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। সরকারি বাজেট অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাজেট বাড়ানো দরকার।