ইউরোভিশন ডেস্ক :নাসির উদ্দিন চৌধুরী সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই–শাল্লা) রাজনৈতিক অঙ্গনের এক পরিচিত নাম হলেও তাঁর পুরো রাজনৈতিক যাত্রাই নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। একসময় জাতীয় পার্টির হয়ে এমপি নির্বাচিত হলেও পরবর্তীতে দল পরিবর্তন করে বিএনপিতে যোগ দেন, যা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও আদর্শিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে।
তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রতিবারই পরাজিত হন। ধারাবাহিক এই ব্যর্থতা তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতা কতটা দুর্বল ছিল—তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
স্থানীয়দের বড় অভিযোগ হলো তাঁর অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনের আগে তিনি দিরাই–শাল্লার রাস্তা উন্নয়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতির কোনো ফল মানুষ দেখতে পায়নি। এলাকার মূল সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ অবকাঠামো—সবই আগের মতো অবহেলিত থেকে গেছে, যা তাঁর নেতৃত্বের উপর জনগণের আস্থা আরও কমিয়েছে।
এছাড়া, বর্তমানে তিনি বয়সজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং অনেকের মতে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেও পারেন না। এর ফলে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তাঁর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বা রাজনৈতিক ভূমিকা কতটা কার্যকর হতে পারে—তা নিয়েও জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে নাসির উদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে অনেকেই অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি, সংগঠনগত দুর্বলতা ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে দেখেন।