৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সকাল ৬:৪২
৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সকাল ৬:৪২

চন্ডিডহর খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ভোগান্তিতে যাত্রী সাধারণ।

Share Option;


মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জ, দিরাই উপজেলার কামারখালী নদীর চন্ডিডহর খেয়া ঘাটে নেই সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়ার তালিকা। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নদী পারাপারের জন্য খেয়া নৌকায় অতিরিক্ত ভাড়া টাকা আদায় করে আসছে ইজারাদার। আর রাত হলেই চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে। জরুরি কাজে পারাপার কিংবা অসুস্থ রোগী নিয়ে নদীর এপার থেকে ওপারে পৌঁছাতে হলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে খেয়াঘাট ইজারাদারদের ণৈরাজ্য।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে আগামি এক বছরের জন্য চন্ডিডহর খেয়া ঘাট লিজ দেয় জেলা প্রশাসন। খেয়া ঘাট ইজারা নেন দরগাপাশা ইউনিয়নের বাবুল মিয়া তার কাছ থেকে সাব ইজারা নেন মৌ গাঁও গ্রামের হেলাল, পাইকাপন গ্রামের সামাদ মিয়া, জগদল ইউনিয়নের সিকন্দরপুর গ্রামের বদর। তাহারা খেয়াঘাট লিজ নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় খেয়া ঘাটের নৈরাজ্য। চন্ডিডহর খেয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন জগদল, দরগাপাশা, কলকলিয়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়। তবে এই খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা সাটায়নি ইজারাদার। ফলে ইচ্ছেমত খেয়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। জন প্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা। আর মোটরসাইকেল পারাপারে ১০ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হয় ৫০ টাকা। রাত হলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরী প্রয়োজনে পারাপার হতে হলে গুনতে হয় ১শ’ থেকে ২শ টাকা। আর চড়া মূল্য আদায়ে প্রতিবাদ কিংবা দর কষাকষি করলেই হতে হয় লাঞ্চনার শিকার। ভুক্তভোগীরা বলেন, মানুষের সেবা নয় খেয়া পারাপারের নামে এসব ঘাটে চলছে নিরব চাঁদাবাজি। চন্ডিডহর খেয়া ঘাটের এই চিত্র দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা আরও বলেন, এই এলাকায় বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেয়া ঘাটে ভাড়ার নামে চাঁদা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
খেয়া পারাপার হওয়া যাত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, খেয়া নৌকা দিয়ে এপার থেকে ওপার গেলে প্রতিবার দশ টাকা দিতে হয়। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকার সাইনবোর্ড সাটানো হয়নি ঘাটে। ইজারাদারের দায়িত্ব পালন কালে সামাদ মিয়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।


Share Option;

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *