মুহাম্মদ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর খালের সেতুর মধ্যমাংশ নীচের দিকে ধাবিত হওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রানহানির দুর্ঘটনা। ভগ্নদশার এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন। জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া চন্ডি ডহর সড়কের জগদীশপুর খালের সেতু দিয়ে বিগত এক বছর ধরে যানবাহনসহ স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
সেতুটি যে কোনো সময় ধ্বসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।সেতুটির এমন দশা যে এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু হালকা যানবাহন চলাচল করছে। ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে পণ্য পরিবহন করতে না পারায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন।
পথচারী রাব্বি আহমদ, সিএনজি চালক রাজিবুল, ইজিবাইক যাত্রী অনিলচন্দ, পল্লীচিকিৎসক ডাক্তার পংকজ দাস বলেন,আমরা যখন সেতুর ওপর উঠি তখন ভয়ে থাকি। সেতুটি যে কোনো সময় পুরোপুরি ধ্বসে যেতে পারে। এই সেতুটি দেখার কেউ নেই। এর আগে এই সেতুর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। সেতুটি সম্পূর্ণ ধ্বসে গেলে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার পথচারী চলাচল করেন। আগে পণ্যবাহী ট্রাক আসত, কিন্তু এখন আর আসতে পারে না। সেতুটির পাশে কোন শতর্কীকরন সাইনবোর্ড বসায়নি উপজেলা প্রকৌশলী। সেতুটি দ্রুত নির্মানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। ঝুকিপূর্ন সেতুগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বেইলি সেতুর সংখ্যাই বেশী। ঝুকিপূর্ণ সেতুর তালিকা করা শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়, বিষয়টির সাথে মানুষের জানমালের সম্পর্ক রয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যেন আর ঝুলিয়ে রাখা না হয়।
ঝুকিপূর্ণ সেতুর পাশে সাইনবোর্ড সাটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, সেতুর পাশে ঝুকিপূর্ণ সাইনবোর্ড সাটানো হয়েছিলো লোকজন খুলে নিয়ে গেছে। সেতুর ওপর পাটাতন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতুর উপর পাটাতন দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদের কাছে নেই। সেতুটি নির্মানের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে বর্ষা মৌসুম পরে কাজ হবে।